শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম:
কাশিয়ানীর মতো মুকসুদপুরেও নির্বাচনী ফল হলে সে দায় কার!

কাশিয়ানীর মতো মুকসুদপুরেও নির্বাচনী ফল হলে সে দায় কার!

মোঃ শহীদুল ইসলাম বেলায়েত
কে কি বললো আর কি ভাবলো, তাতে কিছু যায় আসেনা। কেননা গোপালগঞ্জ জেলা বঙ্গবন্ধুর তথা আওয়ামীলীগের ঘাটি। এখানকার মানুষ বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামীলীগকে ভালবাসে। আওয়ামীলীগের ডাকে এ জেলার মানুষ নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে যে কোন রাজনৈতিক কর্মসূচীতে ঝাপিয়ে পড়তে কখনও পিছু হাটেনি। তাতে কে আমাদের কি বিশেষনে বিশেষিত করলো তাতে কিচ্ছু যায় আসেনা। এ জেলার প্রতিটি মানুষ যেন বঙ্গবন্ধুর রক্তের সঙ্গে মিশে গেছে।
কিন্তু সাম্প্রতিক কয়েকটি স্থানীয় নির্বাচনের যে চিত্র আমাদের সামনে এসেছে তা খুবই অস্বস্তিকর। বিগত দুটি উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থীদের পরাজয় এবং সম্প্রতি কাশিয়ানী উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের পাঁচটির ফলাফল শুধু অনাকাঙ্খিতই নয়, বঙ্গবন্ধুর সৈনিকদের মারাত্বকভাবে আহত করেছে। আওয়ামীলীগের ঘাটি হিসাবে খ্যাত মুকসুদপুরে বিগত ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতিক পাওয়ার পরেও তিনটি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছে। বিগত দিনের সে সব পরাজয় নিয়ে যাদের ভাবা প্রয়োজন ছিল তারা কতটুকু ভেবেছেন এবং সে ক্ষত নিরাময়ের জন্য কি উদ্যোগ নিয়েছেন, তা এখনও আমাদের অজানা।
আগামী ২৮ নভেম্বর মুকসুদপুর উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের নির্বাচন নিয়ে চলছে ব্যাপক জল্পনা কল্পনা। ষোল ইউনিয়নে ৭৮জন প্রার্থী, যা কোনদিন মুকসুদপুরবাসী কল্পনাও করেনি। কয়েকটি ইউনিয়নে আটজন প্রার্থী হয়েছেন। অনেকের ধারনা আসন্ন নির্বাচনে তিনের অধিক নৌকার প্রার্থী পরাজিত হবেন। সাধারণ মানুষের এমন শংকা যদি সত্যে পরিনত হয়, তাহলে রাজনৈতিক সচেতন মহল হিসাব মেলাবেন কি করে এবং এসব লক্ষন কিসের ইঙ্গিত বহন করছে। নৌকা প্রতিকের প্রার্থীদের পরাজয়ের সংখ্যা না কমে যদি আরো বেড়ে যায় তাহলে সাধারণ মানুষকে এমন কি বার্তা দিচ্ছে, যাতে বঙ্গবন্ধু ভক্তদের হৃদয়ের ক্ষতকে আরো বাড়িয়ে তুলবে।
পরাজয়ের সংখ্যা না কমে যদি আরো বাড়ে তার দায় কার উপর বর্তাবেন আওয়ামীলীগের কর্ণধরেরা। তারা কি বলবেন ভোটাররা ভোট দেয়নি, তারা জাতির পিতার সঙ্গে বেঈমানী করেছে। যে পিতার আদর্শ বুকে ধারন করে এইসব সাধারণ মানুষ জীবন উৎসর্গ করতে দ্বিধা করেনি, তারা আজ কেন বঙ্গবন্ধুর প্রতিক থেকে ক্রমেই দুরে সরে যাচ্ছে। একবারও কি তারা ভেবে দেখবেন না। সাধারন মানুষের হৃদয়ের স্পন্দনকে অনুধাবন করে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, তিরিশ লক্ষ মানুষ আত্মাহুতি দিয়েছিল। আর আজ মানুষ সব কষ্টকে বুকে চাঁপা দিয়ে ক্রমেই দুরে সরে যাচ্ছে। নাড়ির স্পন্দন অনুভব করতে যারা ব্যর্থ তারাই সাধারণ মানুষকে অকৃতজ্ঞ বলে আখ্যা দিচ্ছেন। এখনও সময় আছে বঙ্গবন্ধুর মতো এসব সাধারণ মানুষের কাছে আসুন, মাটিতে বসে মাটির মানুষের হৃদয়কে অনুভব করুন, আদেশ নয় ভালোবাসা দিন। দেখবেন আবেগ আপ্লুত বাঙ্গালী আবার আপনাদের জয়ের জন্য জীবন বলী দিবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..




© All rights reserved 2018 Banglarnayan
Design & Developed BY ThemesBazar.Com